হাওরও যেন সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে বসে থাকে পর্যটকদের জন্য। আর যদি বিষয়টা এমন হয় হাওরের বুক চিরে চলে গেছে ভাসমান রাস্তা, দুপাশে অথৈ পানি তাহলে দৃশ্যটা কেমন লাগবে বলুনতো? তবে বন্ধুরা এই দৃশ্য টি এখন আর কল্পনা করতে হবে না আপনাকে, আপনি চাইলে বাস্তবে এই মনোরম দৃশ্য দেখতে ঘুরে আসতে পারেন বালিখলা হাওর থেকে।
বালিখলা হাওরের অবস্থান: কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলায় বালিখলা হাওরের অবস্থান।
বালিখলা যাওয়ার উপযুক্ত সময়: হাওর এলাকা ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল। বর্ষায় যে দিকে চোখ যাবে শুধুই পানি আর পানি দেখতে পাবেন।
যেভাবে যাবেন বালিখলা বেড়িবাঁধে: বালিখলা বেড়িবাঁধে যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে যেতে হবে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে। কিশোরগঞ্জ শহরের একরামপুর থেকে সিএনজি বা অটোরিকশায় চলে যাবেন বালিখলা বেড়িবাঁধে।
বালিখলায় থাকা-খাওয়া: বালিখলা হাওরে থাকার কোনো জায়গা নেই। ভ্রমণ শেষে কিশোরগঞ্জ শহরে সার্কিট হাউস বা অন্য কোনো আবাসিক হোটেলে থাকতে হবে। তাই ফেরার জন্য পর্যাপ্ত সময় রাখবেন। আর চাইলে নৌকা রির্জাভ করে হাওরে রাত কাটাতে পারবেন। আর খাওয়ার জন্য বালিখলায় এখনো ভাল কোন খাবারের হোটেল গড়ে উঠেনি। কয়েকটা টং দোকান আছে। সেখানে হালকা নাস্তা করতে পারবেন। তবে ভারি খাবারের জন্য কিশোরগঞ্জ শহরে অথবা যাত্রাপথে করিমগঞ্জ বাজার থেকে খেয়ে নিলে ভাল হবে অথবা খাবার সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন।
বালিখলায় গেলে যা যা উপভোগ করতে পারবেন: বালিখোলা রাস্তার শেষ প্রান্তে হাওরে ঘুরার জন্যে নৌকা পাওয়া যায়। চাইলে নৌকা রির্জাভ করে হাওর ঘুরে দেখতে পারেন। এছাড়া মিঠামইন, লেকসিটি পার্ক, পাগলা মসজিদ, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ ঘুরে আসতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় কিছু টিপস:
- সাথে লাইফ জ্যাকেট রাখবেন
- শুকনো খাবার ও পানি সাথে রাখবেন
Social Share